ক্রাইম রিপোর্ট:৮ জুলাই ২০২৫ | নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার মানবিক কার্যক্রম আবারও আলোচনায় এসেছে। তিনি চারজন অসহায় ব্যক্তিকে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকাল ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।
এই সহায়তা প্রদানের সময় জেলা প্রশাসক বলেন,
“আমি যতদিন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকব, ততদিন এ দপ্তরের দরজা জেলার প্রতিটি মানুষের জন্য খোলা থাকবে। আমি জীবনে তেমন কিছু চাই না, শুধু দোয়া চাই এবং আমার মহৎকর্মের মাধ্যমে সকলের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকতে চাই।”
সহায়তা প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন,চিতাশালের মো.বাবুল,যিনি চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং অপারেশনের জন্য আর্থিক সহায়তা চান।
মাসদাইরের আব্দুস সালাম মুন্না,যিনি ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসা সংকটে পড়েন।
দেওভোগের জামাল আহমেদ,যিনি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চাকরি হারান ও পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছিলেন।
মধ্য সন্তাপুরের সাবরিনা বেগম,স্বামীহারা ও তিন কন্যা সন্তানের জননী, যিনি বড় মেয়ের বিয়ের খরচ নিয়ে হতাশ ছিলেন।
জেলা প্রশাসক শুধু আর্থিক অনুদানই দেননি,প্রত্যেকের ব্যক্তিগত দুঃখগাথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং উৎসাহ জুগিয়েছেন।
সহায়তা পাওয়া ব্যক্তিদের অভিব্যক্তি,সাবরিনা বলেন,”অনেকের মুখে শুনেছি ডিসি স্যারের কাছে কেউ খালি হাতে ফেরে না, আজ নিজ চোখে দেখলাম।”
জামাল আহমেদ বলেন,”উনি শুধু টাকা দেননি,আমার কথা মন দিয়ে শুনেছেন—এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।”
আব্দুস সালাম মুন্না বলেন, “এই টাকায় চিকিৎসার বাকি কাজটা শেষ করতে পারব।”
অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মো. বাবুল বলেন,”ডিসি স্যার আমি সালাম দেওয়ার আগেই উনি সালাম দিয়েছেন,মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেছেন। এমন মানুষজনই তো প্রকৃত জনসেবক।”
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার এই মানবিক উদ্যোগ জেলাজুড়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। নাগরিকরা বলছেন, একজন ডিসির কাজ কেবল প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন নয়, জনসেবাই তার প্রকৃত পরিচয়।
Leave a Reply