 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
নিজস্ব প্রতিনিধি:
নটোরের লালপুর ও পাবনার পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে বৈধ ইজারাদাররা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতিবছর সরকারের প্রায় ১০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অথচ প্রশাসন রয়েছে নীরব।
পাবনা ও নাটোরের বৈধ বালু মহালগুলো ইজারার মাধ্যমে সরকারকে রাজস্ব দিয়ে পরিচালিত হলেও, অবৈধ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ইজারাদারদের ব্যবসা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। নাটোরের লালপুরে দিয়ার বাহাদুরপুর এলাকার সরকার অনুমোদিত বালু মহাল থেকে প্রতিনিয়ত বাধার মুখে পড়ছেন ইজারাদাররা।
গত বছর রাসেল এন্টারপ্রাইজ এবং এ বছর মোল্লা এন্টারপ্রাইজ ইজারা নিলেও তারা তাদের কার্যক্রম চালাতে পারছে না। স্পিডবোর্ডে চড়ে অস্ত্রের মহড়া ও হামলা চালিয়ে মাঝি-মাল্লাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমনকি ইজারাদারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোল্লা এন্টারপ্রাইজের মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এইভাবে চললে ভবিষ্যতে কেউ আর বালু মহালের ইজারায় আগ্রহ দেখাবে না।”
অন্যদিকে, পাবনা জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, অবৈধ বালু মহালে অভিযান চলমান রয়েছে, তবে নৌ পুলিশের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অবৈধ উত্তোলন রোধে সমন্বিত অভিযান, জিও-ট্যাগড মনিটরিং এবং রাজনৈতিক প্রভাব খতিয়ে দেখা না গেলে এই সমস্যা ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
বালু মহাল নাটোর, পাবনা বালু ইজারা, বালু ব্যবসায়ীদের ক্ষতি, রাজস্ব ক্ষতি বাংলাদেশ, বালু উত্তোলন সমস্যা, নাটোর পাবনা অবৈধ বালু, বালু সিন্ডিকেট, প্রশাসনের ব্যর্থতা
Leave a Reply